শাহিন আলম, সিরাজগঞ্জ রিপোর্টার:  মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রামন বৃদ্ধি হওয়ায় সারা বিশ্বের পাশাপাশি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে চলছে দেশ ব্যাপি লকডাউন।দিন যাচ্ছে বেড়েই চলছে করোনা সংক্রামন।

শহর থেকে গ্রাম। গ্রাম থেকে শহর। মানুষের মাঝে বিরাজ করছে করোনা নামক মানুষ খেকো মহামারি ভাইরাস। যার দরুনে মানুষ ঘর থেকে বাহিরে যেতে পারছে না।পারছে না একজন দিনমজুর তার কর্ম করতে।পারছে না একজন রিক্সাওয়ালা তার কর্ম করতে পারছে না ড্রাইভার গাড়ি চালাতে, দোকানদার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাতে,অনেক কষ্টে দিন যাপন করছে এইসব সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।খেয়ে না খেয়ে দিন যাচ্ছে রৌদ,বৃষ্টি, ঝড়ে কঠোর পরিশ্রম করে যারা দেশের মানুষের মুখে আহার তুলে দেন।

গ্রামের শতকরা ৬০% লোক ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত কিন্তুু টাকার অভাবে কেউ কেউ পারছে না ওষুধ কিনে খেতে। এত কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন যাপন করছে যে সকল সাধারণ মানুষ তাদের সাথে রক্ত খেকো আচারণ চালিয়ে যাচ্ছে দেশের এনজিও নামের কিছু সুদ খোর রাক্ষস ।তাদের আচরণ দেখলে বা শুনলে মনে হয় মানুষের মাঝে বিবেক,বিবেচনা ও মানবিকতা নেই বললেই চলে।

সারা বছর যাদের টাকা কষ্টের টাকা দিয়ে নিজের বেতন করে নিজের বউ বাচ্চা কে ভালো খাওয়ান আজ তাদের কষ্টের সময়ে মুখে এক মুঠো আহার তুলে না দিয়ে লকডাউনের মধ্যে দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে কিস্তি নামক মানুষের মুখের আহার কেরে নেওয়ার অভিযান। আর এমনটার বাকি কিছু চলছে না সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি তাড়াশ উপজেলায়।সম্প্রতি জেলা পরিষদের পক্ষে কিস্তি আদায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছে না কর্তৃপক্ষ।

তাড়াশ উপজেলায় মোট এনজিও সংখ্যা প্রায় ২০ টির ও অধিক। এদের মধ্যে কিছু কিছু এনজিও প্রতিষ্ঠান যেমন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত পল্লী দারিদ্র্য বিমচোন ফাউন্ডেশন, আশা, জাগোরনী চক্র ফাউন্ডেশন, বিআরডিপি,সহ কিছু এনজিও বাংলাদেশ সরকারের আইন মেনে মাঠে কিস্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে সকল কার্যক্রম থেকে নিজেদের সরিয়ে থাকলেও থেমে নেই ব্রাক কর্মীরা,থেমে নেই পিসিডি নামক এনজিও সহ কিছু রক্ত খেকো মানুষের মুখের আহার কারা এনজিও প্রতিষ্ঠান। কঠোর লকডাউনে দিন রাত মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কিস্তির টাকা আদায় করে যাচ্ছে।

সাধারণ মানুষ মান সম্মান বাচানোর লক্ষে ধার, করয্য, করে বা সুদে টাকা নিয়ে নিজের মুখের আহার/খাদ্য না কিনে তবুও কিস্তি দিয়ে বাড়ি থেকে বিদায় দিচ্ছে মহিলা ব্রাক কর্মী / অন্যদের।এমনি করে চলছে সাধারণ মানুষের জীবন কিন্তু দেখার বা বলার নেই কোন ব্যক্তি। নাই প্রশাসনের কোন কঠিন তদারকি। অবহেলায় পরে থাকা সাধারণ মানুষের দাবি এই যে দেশের অবস্থা শিথিল না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের এনজিও গুলো কঠোর ভাবে বন্ধ রাখার জন্য বিনীত নিবেদন করা যাচ্ছে।ও সেই সাথে সকল সাহায্যে সহযোগিতার হাত বেরিয়ে দিতে মর্জি হয়।